সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
দেবস্মিতা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ : ১২Debosmita Mondal
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই বলা হয় পুলিশ কেস হবে। খতিয়ে দেখবে মৃত্যু কেন হয়েছিল। মৃতদেহের হয় পোস্ট মর্টেম। মৃতদেহ বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করা হয় মরে যাওয়ার কারণ। প্রতিদিন ভারতের প্রায় সব হাসপাতালেই দেহ আসে পোস্ট মর্টেম করার জন্য। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার পোষাকি নাম বাংলায় ময়নাতদন্ত। কেন এমন নাম?
ময়না একটি পাখির নাম। শব্দটি এসেছে ফার্সি বা উর্দু শব্দ থেকে। এই শব্দের অর্থ অনুসন্ধান করা বা ভাল করে খোঁজা। অর্থ্যাৎ ময়নাতদন্ত বলতে বোঝায় ভাল করে তদন্ত করে দেখা বা খতিয়ে দেখা। কারও কারও মতে, আরবি ‘মুয়াওয়িনা’ শব্দ থেকে এসেছে ময়না শব্দটি। মুয়াওয়িনা মানে হচ্ছে নিরীক্ষা করা, ব্যবচ্ছেদ করা, বিশ্লেষণ করা।
ময়নাতদন্তে কী হয়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তের সময়ে শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। যেমন, আত্মহত্যার ক্ষেত্রে পাকস্থলী, ফুসফুস প্রভৃতি সংরক্ষণ করা হয় যাকে ভিসেরা বলে। আবার ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে সিমেন সংগ্রহ করে ডিএনএ ম্যাচ করা হতে পারে।
ময়নাতদন্তের নামের পেছনে আরও একটা মত কাজ করে। শব্দটি শুরু ময়না দিয়ে। ময়না একটি পাখির নাম, কালো রঙের এই পাখির ঠোঁট হলুদ। এই পাখি প্রায় তিন থেকে ১৩ রকমভাবে ডাকতে পারে। অন্ধকারে ময়না পাখি চোখে দেখা যায় না। অন্ধকারের নিজেকে লুকিয়ে রাখে এরা।
শুধুমাত্র অভিজ্ঞ মানুষ সে ডাক শুনে বুঝতে পারেন যে এটা ময়না পাখি। না দেখা ময়নাকে যেমন অন্ধকারে শুধু কণ্ঠস্বর শুনে আবিষ্কার করা যায়, তেমনি পোস্টমর্টেমের ক্ষেত্রে অন্ধকারে থাকা কারণ সামান্য সূত্র দিয়েই চেনা যায়। সামান্য সূত্র থেকে আবিষ্কার হয় বড় থেকে আরও বড় রহস্যের মূল কারণ, পাওয়া যায় আসল অপরাধীদের বা চক্রের মাথাদের। বোঝা যায় মৃত্যুর কারণ, তাই পোস্ট মর্টেম এর বাংলা ময়নাতদন্ত, এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।